চুলের চাকচিক্য ধরে রাখতে কন্ডিশনারের জুড়ি নেই। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড শ্যাম্পুর সঙ্গে কন্ডিশনারও বের করে। বাজারের কন্ডিশনার যতো ভালোই হোক রাসায়নিক উপাদান দিয়েই তৈরি হয়। যা চুলে সাময়িক উজ্জ্বলতা দিলেও নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ক্ষতি করে। বিশেষ করে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এর চেয়ে বাড়িতে ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করে নিন।
কীভাবে বাড়িতে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করা যাবে এর কিছু পদ্ধতি জানাব এই আয়োজনে_
কলা দিয়ে কন্ডিশনার বানিয়ে নিন
একটি বড় কলা নিন। এর সঙ্গে তিন টেবিল চামচ মধু দিন। তিন টেবিল চামচ দুধ ও তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে মিশিয়ে নিন। এটির সঙ্গে একটি ডিম দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভালো করে পেস্ট করুন। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখবেন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। উপকার টের পাবেন।
ভিনেগার-ডিমের কন্ডিশনার
ডিমের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে কন্ডিশনার বানিয়ে নিতে পারেন। ৩টি ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে ২ চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মেশান। এতে দেড় চা চামচ অলিভ অয়েল ও এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল মসৃণ হবে। চুল পড়াও বন্ধ হয়ে যাবে।
নারকেল তেল-মধুর কন্ডিশনার
নারকেল তেল চুল কন্ডিশনিংয়ের কাজ করে। এক টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। এতে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে ভাল করে মেশান। তারপর চুল শ্যাম্পু করার পর তা দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। নারকেল তেল চুলের গোড়া মজবুত করে।
ডিম-দইয়ের কন্ডিশনার
টকদই দিয়ে কন্ডিশনার বানিয়ে নিন। একটি ডিম ও ৬ টেবিল চামচ দই ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। দইয়ের প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে। যা চুলের জন্য় খুব ভালো। এটি চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
অ্যাপলসিডার ভিনেগার কন্ডিশনার
দুটি টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ও পানি মিশিয়ে নিন। সব উপকরণ ভালো করে মেশান। চুলে শ্যাম্পু করার পরে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকে লাগাবেন না। শুধু চুলে লাগিয় নিবেন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অ্যাপলসিডার ভিনেগারে থাকা এসিটিক অ্যাসিড চুলকে মসৃণ করে।